প্রাথমিক তথ্য- বেগুনের গোড়া পঁচা একটি মারাত্মক রোগ। এ রোগে বেগুনের পাতা ফ্যাকাশে থেকে হলুদাভ এবং পরবর্তীতে শুকিয়ে বাদামি রঙ ধারণ করে। গাছের গাড়া বিবর্ণ হয় ও পঁচে যায়। টমেটোর নেতিয়ে পড়া রোগের লক্ষণ কুমড়া জাতীয় সবজিতে যা উল্লেখ করা হয়েছে তারই মত। আলুর মড়ক হলে গাছের পাতার কিনারা বা আগা হতে নিচের দিকে পোড়াভাব ধারণ করে এবং পাতা মারা যায়। এমনকি কাণ্ড, শাখা প্রশাখাসহ সম্পূর্ণ গাছ কালো হতে থাকে এবং পোড়াভাব ধারণ করে। পরবর্তীতে সম্পূর্ণ ক্ষেত ধ্বংস হয়ে যায়। শুকনো পঁচা রোগে আলুর ত্বক ভাঁজ ভাঁজ বলয় তৈরি করে কুঁচকে যায় এবং আস্তে আস্তে শুকায়ে যায়। আক্রান্ত ত্বকে শাঁসে আক্রমণ করে সেখানে নরম করে সেখানে ফেলে। আলুর শাঁস পঁচা শুরু হলে চাপ দিলে পুঁজের ন্যায় বের হয় ও দুর্গন্ধ ছড়ায়।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১। বেগুন, টমেটো ও আলু গাছের আক্রান্ত পাতা, ২। কাঁচি/চাকু ৩। ট্রে/ডালা ৪। ফরসেফ ৫। খাতাকলম কাজের ধাপ।
২। বেগুন, টমেটো ও আলুর জমিতে ফসলের বৃদ্ধির বিভিন্ন বয়সে/পর্যায়ে যেতে হবে। রোগের লক্ষণ দেখে পাতার সাথে মিলিয়ে শনাক্ত করে কাঁচি/চাকু দিয়ে পাতা ভাঁটা কাটতে হবে
রোগের নাম | রোগের লক্ষণ |
বেগুনের গোড়া পঁচা | পাতা ফ্যাকাসে হলুদাভ হয়ে শুকিয়ে যায়, গোড়া বিবর্ণ হয়ে পচে যায়। |
টমেটোর নেতিয়ে পড়া | পাতা হলুদ হয়, কিনারা দিয়ে পোড়াভাব হয়, পাতা আংশিক নরম হয় ও পুরো গাছ হঠাৎ মারা পড়ে। |
আলুর মড়ক | পাতার কিনারা ও আগা হতে মরে ও পাতা পোড়াভাব হয়। পরবর্তীতে কাণ্ড, শাখা-প্রশাখা কালো হয় ও পোড়াভাব ধারন করে। |
আলুর শুকনো পচা | আলুর ত্বকে ভাঁজ ও বলয় হয়ে কুঁচকে শুকিয়ে যায়। ত্বক আলুর শাঁস থেকে আলাদা হয়ে যায়। |
আলুর নরম পচা | আলুর ত্বক পঁচে যায় ও আক্রান্ত স্থানের নিচে আলুর শাঁস নরম হয়ে যায়। চাপ দিরে পুজের ন্যায় বের হয় এবং পচা দুর্গন্ধ বের হয়। |
৩। রোগের লক্ষণের সাথে মিলিয়ে প্রতিটি আলাদা করে নিয়ে খাতায় লিখতে হবে। এবাবে রোগাক্রান্ত পাতাগুলো শনাক্ত করবে।
৪। এসব ফসলি জমিতে সম্পূর্ণ উৎপাদন সময়কাল পরিদর্শন করে কোন কোন সময় কোন কোন রোগ আক্রমণ করে এবং কোন সময় তীব্রতা বেশি হয় তা নির্ণয় করা যাবে।
আরও দেখুন...